বাদামের খোসা ছাড়াতে ছাড়াতেই সময় বয়ে গেলো,
সূর্যকে খেয়ে ফেল্লো সাগরের লোনা ঘোলা জলরাশি,
ঝিঁঝিঁ সন্ধ্যা এসে ভর করেছে কাঁধের ঠিক কিনারায়,
কোলাহল কমতে শুরু করে ধীর পায়, বেশ মুগ্ধতায়,
নীরবতা নেমে আসতে শুরু করে গোটা মাঠ-ঘাটময়।
সমুদ্র-জলে বিক্ষিপ্ত আলোর মশাল জ্বেলে জেলেরা-
সাজিয়ে নিয়েছে দৃষ্টির সৌখিনতা, জলপৃষ্ঠে বিচ্ছুরণ,
দূরের বন্দরের সোনালী বাতিগুলো বাড়িয়েছে ঐশ্বর্য।


শীতের সন্ধ্যায় চায়ের কাপে চুমুক দেয়ার মনস্থ করি,
হেটে যায় ফেরি করা চাওয়ালা চাচা, আচারের ভ্যান,
দূরে বাজে গীটারে সুরে কাঁচা গলা, পাঁচ মিশালী গান,
সমস্ত রঙিন আলোয় ঝলমলে সারা অঙ্গন, আশপাশ,
দু'-কানের গহীন গিয়ে আঘাত করে হিম হিম বাতাস,
জলের ধ্বনিতে মিশেছে উদাস বাতাসের শব্দ ও ছন্দ,
একটা লম্বা পথ চরের মাটি বেয়ে হেঁটে চলার আনন্দ,
সমুদ্র-জল বিশালতায় নিজেকে হারানোর আত্মতৃপ্তি।


আজ মন খারাপের গল্প মুছে গেছে আনন্দের নৃত্যে,
হারিয়ে ফেলা হাতঘড়ি ফিরে পাওয়ার খুশির মতোন,
হারানো বিজ্ঞপ্তির টাকার ব্যাগ ফিরিয়ে দেয়ার ন্যায়,
বাসে ফেলে আসা চাবির রিং খুঁজে পাওয়ার উচ্ছ্বাস,
এ্যালবামে মা'র সাথে ছোট্ট বেলার ছবি দেখার সুখ,
আঠারো-শো দিন পর হাঁটতে পারার আনন্দের অশ্রু।


দুঃখের গল্প শুনাবো না আজ, জীবনের চাহিদা কম,
চাওয়া পাওয়ার হিসেব কষে অতিষ্ঠ বেশ নষ্ট রকম।


আর কী আছে চাওয়ার!
হয়তো আরো লম্বা কিছুটা সময়, আরো বেঁচে থাকা।