অজানা এক নিঃসঙ্গতা ঘিরে রেখেছে আমাকে দীর্ঘকাল মৌমাছির মতো।
আপাতত মুক্তির কোনো উপায় নেই, জানা নেই সময় ক্ষণ কখন তাতো।
শিশিরের শেষ বিন্দু-কণার মতো অতি সাবধানে ঝরে আমার মুহূর্তগুলো।
হৃদয়ের দেয়ালে আছড়ে পড়ছে আলতো করে আলোহীন গাঢ়তর কালো।
হায়াতের বাজেট যেনো ধীরে হচ্ছে ক্ষয়, শক্তি সামর্থ্য খুব ধীর হচ্ছে লয়।
একটা মোমের সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর বড়ো শখ হয় যখন তখন, নির্ভয়।
কিন্তু নাহ, মৃত সরীসৃপের মতো পড়ে রয় দীর্ঘ দেহ, চুল নখ দাড়ি কাটে।
সূর্যের তাপে ঝলসে যাবে দৃষ্টি, বাতাসের স্পর্শে মৃত্যু, ব্যস্ত দুরুদ পাঠে।
হারিয়ে ফেলা সময় বুক চাপড়ে বিলাপ করে, স্মৃতি পোড়ায় অতি যতোন।
স্বপ্নের অপূর্ণতা সময় অসময় সুর তুলে কান্না করে সুকণ্ঠী পাখির মতোন।
পাশে ড্রাগন চাষ হতে শেষরাতে ঝিঁঝিঁ পোকা' ডাক কানে আসে অবিরত।
বুকের ধুধু প্রান্তর শুকিয়ে বেশ চৌচির, নির্জনতার গর্জনে ক্ষতো বিক্ষতো।
আষাঢ়ের গভীর রাত্রির প্রকট বজ্রধ্বনিতে মনে হলো মৃত্যু এভাবে আসে।
আঁধার শহরে হয়তো বিদ্যুৎ চমকিয়ে এভাবে জমদূত নামে রূহ তালাশে।
ভীত আত্মার দুয়ারে কড়া নাড়ে নিহত বন্ধুর মুখ, দোয়া পড়ে ফুঁকে বুকে।
কাঁথা মুড়ি দিয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে অনেকেই, কারো শেষ কালেমা মুখে।
শহরের দালানকোটা রাস্তাঘাট গাছপালা বৃক্ষলতা ঝলসে যাবে একদিন।
গাছের বাকল চিরে উদ্ভাসিত হবে হয়তো এক সুন্দর সকাল, মুখ মলিন।