আমার রক্ত ঢেলে লিখতে চেয়েছো বিজয়গাঁথা,
দুঃখ জাগে মনে, জানেনি বুঝেনি সে- সে কথা।
শরীর হাড়গোড় জোড়াতালি দিয়ে উঁচু প্রাসাদ,
মাংসের টুকরো জমিয়ে আসন নিরাপদ নিখাদ।
অথচ তুমি নির্মম ভুলে যাও-
তোমার রক্ষা দুর্গের তলে রয়েছে ঘামের নদী,
ভাবতেও পারো শহীদের রক্ত গড়ানো শতাব্দী।


নষ্ট হাতের স্পর্শে পিষ্ট করেছো জীবন কৌশলে,
পাহাড় চূড়ায় দাঁড়িয়ে কেউ চিৎকার করে বলে-
বাঁচতে চাই, বাঁচতে চাই নিরাপদ রাষ্ট্র সীমায়।
কেউ ঘেঙানো কান্নায় ভাসায় বুক কৃষ্ণ সান্ধায়।
তপ্ত রোদ, কাঁদে ক্ষুধা জ্বালা, খালি থালা হাতে,
কেউ ক-চিমটি ব্যক্তিত্ব বেড়ে নেয় ভাত পাতে।
দু'এক কোটি বছর ভালোবাসা-হীন কেটে যায়,
দ্রোহে বিদোহে, ক্রধে ক্রন্দনে, দুঃখে বেদনায়।


জমি-জমা ভিটা-বাড়িহীন ধরায়-
    কতো যুগ জামানা কেটে গেছে অবলীলায়,
একখণ্ড মাটির শেষ ঘাঁটি কবর,
একখণ্ড কাফনের কাপড় ছাড়াও বাঁচে বেখবর।


তোমার হাতে একজোড়া মৃত মানব তুলে দিয়ে-
বলতে চায় মন সব ভক্ষণ করো, খাও চিবিয়ে,
                   শক্তি ও সৌন্দর্য বাড়াও গায়ে।
প্রথমে উপড়ে ফেলো চোখ দু'টি,
      চুষে নাও মগজ মজ্জা সমস্ত, সুস্বাদু খাঁটি,
তারপর, একেক করে ব্যবচ্ছেদ ঘটা-ও গোটা-
             শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ যতো সব-কটা,
নখরের আঁচড়ে আলাদা করো চামড়া আর দেহ,
   রসালো মাংস, মচমচে হাড়, না-জানুক কেহ।
চিবিয়ে স্বাদ নাও বুকের নরম মাংস,
                            কলিজা ঘিলা ফুসফুস,
অভিশাপ দিবে না কেউ-ই, সুযোগ নাও শতো,
       তোমার নিতান্ত ক্ষুধা নিবারণের ফুরসত।


হায়, বেহায়া সাম্রাজ্য!
দিনদিন পুঞ্জীভূত ব্যথা যদি কখনো কথা ফুটে-  
                                     ঠোঁটে অস্ফুটে,
পাথর চাপায় মৃত্যুদণ্ড দিয়ো সভ্যতার,
            পুঁতে দিয়ো কোমর জল, মলা ঘাটে।