শাড়ি চুড়ি নয়, সালোয়ার কামিছের-ও হয়তো-বা দিন শেষ,
গলায় গামছা বেঁধে ছেড়া ফাটা জিন্স ও টি-শার্টের মিলমেশ।


এবড়োথেবড়ো পোড়া রঙের চুলে সে মহামারী বাহারি সাজ,
অর্ধনগ্ন দেহের খাজেভাজে পেটেপিটে উল্কির কী কারুকাজ!


কালো ধোঁয়া বেরুয় বেয়ে বেয়ে টকটকে লাল ঠোঁটের পেট,
খয়েরি-নীল রঙ নখ আঙুলে আলতো ধরা জ্বলন্ত সিগারেট।


এরূপ হেঁটে চলে গোটা দূষিত শহর অন্যের কাঁধে ভর করে,
সিগারেট ও ধোঁয়া বদলে সত্য সে প্রেম সকরুণ পিষে মরে।


গীটারের তারে সুর তোলে কেউ ভোলাতে চায় দুঃখ অবসাদ,
কেউ ভুলে যেতে চায় চায়ের চুমুকে বিকেলের বিষণ্ণ বিষাদ।
কেউ কেউ প্রিয় গায়কের গানের কথায় বেসুরো সুর মিলায়,
কেউ একা চুপচাপ কিবা মুখস্থ কবিতার দু'চার চরণে চিল্লায়।


ঘুরেফিরে সেই সন্ধ্যা ঘনালেই ব্যাস ভাঙে একমুখ নীরবতা,
খোঁজে ফিরে মরে কোমল সেই দুটি হাত, ঠোঁটের শীতলতা,
বিষাক্ত দুই হাত মেলে নোংরা খেলায় বুকের বিশাল উষ্ণতা।


যেনো অগোছালো আড্ডা, ভ্রষ্টতাভরা অস্বাস্থ্যকর মেলামেশা,
অন্যকিছু নয়, নেহাৎ উষ্ণ শরীরে আরো উষ্ণতা ঢালার নেশা।


অনেক অদেখাই খুব দেখা হয়ে যায় ছায়াঘেরা গোল চত্বরে,
খোলামেলা শরীরে মেলা বসে বেশ, প্রদর্শনী চলে অকাতরে।


আজকাল এমনি চলছে শহর বেয়াড়া এক হাতির পিটে চড়ে...