আজ তোমার অমীমাংসিত প্রশ্ন শুনে কাঁপছে আপাদমস্তক,
চোখ ঝাপসা, মাথা ঝিম-ঝিম, রাগে টগবগ সুগোল গাল,
অসহ্য কেমন লাগে অসামঞ্জস্য বক বক, বিষাক্ত চোয়াল,
নির্বাক তবু জবাবহীন চেয়ে থাকা দৃষ্টিতে আগুন ঝকঝক।


কী এক বিশ্রী সময় মস্তক লুকিয়ে সাক্ষ্য দেয় পরাজয়ের,
অম্লমধুর ভালোবাসায় গলে যায় প্রতারণার মৃদু পূর্বাভাস,
পশ্চিমে আকাশজুড়ে ঐ ইশারায় ডাকে আশাহত সর্বনাশ,
কুৎসিত কোনো এক নোংরা উল্লাস চলে বিকৃত বিজয়ের।


অযাচিত আমন্ত্রণ নিয়ে আসে অত্যাশ্চর্য সৌন্দর্য আচমকা,
কে দেখে মৃত দেয়ালের গা-জুড়ে অঙ্কিত কলঙ্কিত বাসর!
নদী তীরে হাত পা মেলে নীরব আর্তনাদের কদর্য আসর,
দুষ্টুমিচ্ছলে নষ্ট করা গোলাপ-টি কি আদৌ কাঁদে হালকা?


প্রতারণার জাল ছড়িয়ে পড়ছে সারা শরীর মন বেসামাল,
অকস্মাৎ ডুবে যাওয়া ডিঙ্গি ভেসে ওঠার আনন্দে বিভোর,
হটকারিতার আসরে কাতারবন্দি মিছেমিছি ডাকছে ভোর,
ভেঙে দেবে মিথ্যে অহম কে সে সুপুরুষ জোয়ান দামাল!


কেউ বেশ শেষমেশ পৃষ্ঠ প্রদর্শনেই আরাম আয়েশ খোঁজে,
ভণ্ড প্রতারক, সে ক্রমে বিভ্রমে পতিত হতে আগায় অযুত,
রক্তচোষা, মাংসভুক, নখরে গেঁথে রয় হৃৎপিণ্ড খণ্ড নিখুঁত,
আজ আত্মীয় অনাত্মীয়, আপন পর, বন্ধু শত্রু স্রেফ নিজে।