সারাটা দেয়ালজুড়ে এলোপাতাড়ি আঁকাআঁকি,
কতো রঙেই যে রাঙিয়েছে ইচ্ছের প্রতিফলন।
দূর থেকে দেখে মনে হয় শিল্পীর আঁকিবুঁকি।
আড়চোখে তাকালে যে অন্য কিছু দেখা যায়।
আমার ছোট্ট ছেলেটা, সে আঁকতেও জানে না,
চার বছর ছুঁই ছুঁই, সে নিজ বয়সটা জানে না।
অথচ দুই শত বার জানতে চায় আমার বয়স!
কথা দেয়; বড়ো হলে আমায় ঘর করে দিবে,
দোকানে নিয়ে যাবে, নতুন জামা কিনে দিবে,
সবি মিলিয়ে হাজারটা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখে।
হাসি পায়, হেসে নিই, হেসে হেসেই ভাবনার
রাজ্যে ডুবসাঁতার দিই, ডুবেডুবে কল্পনা করি
আমার সে শৈশবের কথা, বত্রিশ বছর পূর্বের।
এভাবে আর ক' বছর দেখবো চক্ষু শীতলতা!
বয়সের চক্রটা যদি এখানে স্থির রেখে আরো
দু'-দশ বছর বাঁচা যেতো, যদি দৃষ্টির সামনে
এভাবেই কেউ এঁকে যেতো অবুঝ মনের রঙ!
তবে পুরো জীবনটাই হয়তো কোনো কবিতার
পঙক্তি হয়ে কাচের ফ্রেমে বাঁধা রইতো অনন্ত।