দৈনিক দাসত্ব কাঁধে নিয়ে-
     ঝনঝনিয়ে ভনভনিয়ে
                      ঘর ছাড়ি,
                      হুড়োহুড়ি-
                     বসে পড়ি,
জীবনের চলন্ত রেলগাড়ি।
গন্তব্যহীন দিগন্ত দূর
সকাল সন্ধ্যা ও দুপুর,
            হাটে বাজারে হাঁটি
            শীতল মাটির ঘাঁটি
           ডালিম পাতা' পাটি
          দুধ ভাত সাদা বাটি,
সোনা ধানে ধন্য কৃষি-জমি
           ক্ষেতের সবুজ ভূমি,
যন্ত্রণায় অন্তহীন
মন্ত্রণায় প্রদক্ষিণ,
সান্ত্বনা খুঁজি আকাশের নীলে,
    পাখপাখালির ঐ মিছিলে,
     নিঃশঙ্ক সব ঝিলে জলে,
      আঁখি খোলে শঙ্খচিলে,  
   বাহু মেলে খালে ও বিলে,
     বিশ্ববাসীর এই নিখিলে।
ঠেলে ঠুলে চলছি অচল প্রাণ,
রক্তে দাসত্ব বয়ে ছুটি আপ্রাণ,
হাজার মানুষ তবু বড্ড একা,
আপন মানুষ পাই না দেখা,
জলের শব্দে ঝাপসা লেখা-
ভরপুর স্বার্থপরে আকাশ ঠেকা,
মুখের উপর সব মুখোশ ঢাকা,
ঠকে ঠকে কঠিন হয় যে শেখা।
          মন্দ দ্বন্দ্ব অ-ঘোষিতে;
         দিবসে কিংবা নিশিতে,
         শাসক দল ও শাসিতে,
          শোষক আর শোষিতে,
         নিষ্পেষিত ও পেশিতে,
          মহাজন আর চাষীতে।
দৈনিক দাসত্বকে ঘাড়ে তোলে,
অন্ধ ঘুরে বেড়াই গন্তব্য ভোলে।
হাঁটি আদি অন্ত,
ছুটি দিক দিগন্ত,
          আলোছায়া পথ ধরে,
         ক্লান্ত শ্রান্ত দিন দুপুরে,
          রাতে কালো আঁধারে,
        যুগ হতে যুগ যুগান্তরে।
হাতছানি দিয়ে ডাকে-
মুক্তির ডাক আমাকে,
         তখনি উঠে খুব লোভ
         দিয়ে হৃদয়ে বিক্ষোভ।