আধমরা দেহ, দেখে না কেহ, অনড় অসাড় মন, ভেবে মরে সারাক্ষণ।
দেহের চারপাশ দেয়াল, গোয়ালবন্ধি যেনো, চাপাসরু, দম আটকানো।
হাতে-পায়ে, মুখে-বুকে, কোমরে ও কলিজায় সারাক্ষণ কাটার আঘাত,
কেউ কেউ নোংরা ঠোঁটের বাহাদুরিতে ঠুকরে ঠুকরে রক্ত ঝরায় ভারী।
বুকভাঙা চিৎকার, কর্ণপাতহীন চমৎকার ঘুমে বিবেক, ধোঁয়াশার জাল,
এক্ষুণি থামবে না রক্ত-স্রোত, আগ্রাসনের আসন পেতে বসেছে প্রহরী।
বিফলেই যাবে হৃৎপিণ্ডের যতো রোনাজারি সাগরে বরফ গলার মতো।
অস্তিত্বের প্রশ্নে প্রাণ যাবে, দমন-পীড়নে উড্ডীন জাতির লাল পতাকা,
আগন্তুক আগুনে জ্বলে-পুড়ে ছাই, যন্ত্রণার সীমানা প্রাচীরও দ্বি-খণ্ডিত।
আহত মেরুদণ্ড, চিকিৎসা নেই, শল্যবিদ্যার সুঁচের খোঁচা নির্ঘাত মৃত্যু।
এই ঝুঁকে থাকা আস্ত মস্তক উঠে দাঁড়াবার সেই ঝুঁকি নিবে কি আদৌ!