নিরাপদ দূরত্ব বজায় চল্লেই ভাবে-
বিচ্ছিন্নতাবাদী, নেহাৎ পৃথককারী।
কখনো-বা কাছাকাছি এলেই ভাবে-
স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে-ই এসেছি কাছে।


নিশ্চুপ নীরব থাকতে চাইলে ভাবে-
ভীষণ অহংকারী, মিশতে চাই না।
কথা বলতে এগিয়ে এলেই ভাবে-
ব্যক্তিত্বহীন সস্তা যা তা, সহজলভ্য কেউ।


ঠোঁটের কোণায় হাসি দেখলে ভাবে-
ঠকিয়েছি বা মেরে খেয়েছি কাউকে।
চোখের কোণায় জল দেখলে ভাবে-
হেরেই গেছি হয়তো, নয় হারিয়েছি কিছু।


কিছু ক্ষমা করে দিতে চাইলে ভাবে-
নিতান্ত ক্ষমতাহীন, অক্ষম ও দুর্বল।
কিছু প্রতিবাদ করতে গেলেই ভাবে-
উগ্র ও শৃঙ্খল, রগচটা ঝগড়াটে বেয়াদব।


কিছু ভালো-মন্দ খেলেই তো ভাবে-
খাদক প্রকৃতির লোক, অপচয়কারী।
অল্প-সল্প কম খেল আবার ভাবে-
নীচ হীন, কৃপণ কিপ্টে, সম্পদ জমাকারী।


মানুষের সন্তুষ্টিটাই খুব কঠিন কিছু,
মন পাওয়া- সে চন্দ্র-সূর্য দু'হাতে যেনো।


শেষ-মেশ বুঝিয়েছি মনকে আমার-
অবুঝ মন হে, বেশি বুঝতে চেয়ো না গো,
ভুলে যাও মনোসন্তুষ্টির সমস্ত মন্ত্র,
হৃদয়ে গেঁথে নাও স্রষ্টার এক ডাক,
রাজি খুশি করো স্রেফ মহান আল্লাহ পাক।