এক দুপুর বৃষ্টি শেষে,
বিস্তর একটা বিকেল এসে,
সাজিয়েছে সারি সারি মেঘের সখ্যতা।
মাথার ওপর ছোপ ছোপ মেঘ-
আগলে রেখেছে আবেগ,
হয়ে যে ঐচ্ছিক এক নান্দনিক ছাতা।
বাতাসের বাসর ভাঙা সুর বেসুরা গান গায়,
উড়ে যাওয়া গায়ে পায়ের শিকল গলায়।
নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে ভেসে বিশাল শীতলতা।
পিচঢালা পথের দু'পাশ ধরে পড়ে রয়,
করতে মানব মন জয়,
বৃক্ষের ঢাল, ঝরে পড়া ফুল কলি পাতা।
দু'টি ফুল,
আরেকটি ফুলের মুকুল,
পাখির আঁখি উজ্জ্বল-
বেয়ে বয়ে যাওয়া জল,
জড়িয়ে কাঁদে গাছের শরীর নিশ্চল।
কিছু কিছু পাখি ছুঁই ছুঁই মন নিয়ে,
না-ছোঁয়ার আবছা আবছা দুঃখ পেয়ে,
ফিরে গেছে দূর ভেজা ঐ পথ বেয়ে,
আড়াল করেছে কষ্ট অশ্রুধারা লুকিয়ে।
মাথার ওপর গাছে টিপ টিপ জল,
মিলেমিশে জমে আছে মেঘ দল,
বাতাসে মিশে আছে মেঘের কোন্দল,
আরো রোদন, বেদনার অশ্রু ছলছল।
কী আছে পখীর অতো, কী আছে সম্বল!
হারিয়েছে সঙ্গী, তাতেই শোক বিহ্বল।
আমার শহরটা তো,
মটর সাইকেলে নয় অতো,
সাইকেলে যতোটা সুন্দর।
যতোটা আছে সুখ, যতোটা আনন্দর।