যদি তবু জানতে চাও- কী চাই আমি বন্ধু,
নির্দ্বিধায় বলি-
একটা সুখের কবিতা লিখার কিছু শব্দ শুধু,
হিসেবের খাতা শেষ,
এটুকুই, ব্যাস।
বেশি চাওয়া নাই,
পাই বা না-পাই।
এই দীর্ঘশ্বাস কেনো জানো?
জানি, জানো না কক্ষনো।
জানবেই-বা কী করে,
বলিনিও কভু ঘুণাক্ষরে।
শুনো,
বুকের ভেতর কেমন একটা ডানা ঝাঁপটানো-
শব্দ হয়, বুক ভারী লাগে যেনো।
এই দীর্ঘতর দীর্ঘশ্বাস লুকানো।
এই যে সুন্দর একটা সন্ধ্যা নামছে-
বিকেল গড়িয়ে, মেঘেরাও চলছে।
আসমানও হয়ে আসছে নরম,
কী এক সুন্দর দৃশ্য মনোরম!
ঝরছে পিচঢ়ালা পথের উপর-
বৃষ্টিদানা মুক্তো হয়ে সারা বিকেলভর।
বৃষ্টির পরশে গন্তব্যে ফেরা গাড়িগুলো-
কতো শতো, বড়ো ছোট, লাল-নীল আলো-
জ্বেলে যেনো জানান দিচ্ছে বিদায়।
অপরদিক থেকে ছুটে আসা সম্মুখ আলোয়-
ঝকঝক করে উঠছে রাজপথের গায়।
রাস্তার দু'পাশে বিপনি বিতানগুলো বরং-
কী আশ্চর্য সুন্দর রঙ-বেরঙ-
নিয়ন সাইনের আলোকরশ্মি হাসছে,
কাচের গা পেরিয়ে বৃষ্টি স্নানে আসছে।
বর্ণালী আলোকচ্ছটায় এক দুর্দান্ত সন্ধ্যা!
তবুও, মনের কোণে নীরবে বাজে যেনো-
বিষণ্ণতার সুর,
অথবা, দাসত্বের নগরে-
এক আধুনিক কৃতদাসের বিষণ্ণতা মধুর!
অথচ, আমার এমনি এক বর্ষার সন্ধ্যায়-
সুখভরা চোখে দুঃখের মন্দায়-
খুব ইচ্ছে ছিলো কবিতা লিখার,
সুখের কবিতা, স্মৃতির পাতার,
ভালো লাগা আর ভালোবাসার।
অথবা, প্রেয়সীর হাতের কড়া এক কাপ চায়ে-
চুমুকে তুমুল আড্ডা, বালিশে মাথা হেলায়ে।
বন্ধু,
তুমি কভু সুযোগ পেলে শুধু-
কিছু শব্দ দিয়ো একটা সুখের কবিতা লিখার,
আর কিছু চাই না পেতে, নেই কিছু পাওয়ার।