একেক করে চিনে নেবো শহরের অলিগলি,
পথের মারপ্যাঁচ, চাপাসরু পথের গলাগলি।
চৌড়া রাস্তার মোড়ে গিয়ে হয়তো আকাশ-
দেখবো, দৌড়ে ছেড়ে দীর্ঘ কিছু দীর্ঘশ্বাস।
শহরের বুক ঘেঁষেই যে নদী গিয়েছে ছুটে-
সে নদীর মেঠো পথে হেটেই সাগরে যাবো।
মন খারাপের গভীর রাতে উঁচু টিলায় শুয়ে-
শতো তারাদের সাতরানি গোপনে দেখবো।
জোছনার প্লাবনে চোখের আঁধার নিশ্চিহ্ন
মুছে দিবো হৃদয়ের দারুণ ক্ষত, শোকচিহ্ন।
যুদ্ধজয়ী সৈনিকের মতো করে হেসে হেসে,
               লাল সূর্যটা ফিরে এলে শেষে,
আমিও আসবো ফিরে-
                    সাজানো সুখের সংসারে।
মৃদু কণ্ঠে বলে উঠবো;
                      দরজা খুলো, ঘুমাবো।
শরীরজুড়ে লোনা জল, উশ-খুশ চুলেরা,
রক্তে ভীষণ শীতলতা, ক্লান্তি দু'চোখ ভরা।
তবুও একটা বদ অভ্যাস ঝালিয়ে নিবো,
কড়া কাপ চায়ের চুমুকে জিভ ভেজাবো।
শহরের টং দোকানে চা চৌরাস্তার মোড়ে-
আমি সুখ-স্মৃতি ধরে রাখি বুকে আঁকড়ে।
রিকসা চেপে খুব নগরের অলিতে গলিতে
চষে বেড়ানোর মায়া কাটিয়ে না উঠতেই-
ঘোলাটে দু'চোখ ঘুমের সাথে সন্ধি পাতে।