যখন ঝর্ণাটাকে ঠিক কাঁধে নিইয়ে দাঁড়িয়ে থাকি,
সামনে সমবেত অসংখ্য লোকের চোখেতে দেখি;
ঝর্ণা ছুঁতে না-পারার হতাশায় জলে দু'পা ডুবিয়ে-
বসে আছে এক বুক অতৃপ্তি ও আফসোস নিয়ে।
কিছুটা আপ্লুত হই, আনন্দের আবেশে ছুঁয়ে যায়-
ঠোঁট, চোখ লেগে আসে সুখ ও সুপ্ত সব কল্পনায়।
চোখ দুটি বন্ধ করে ঠাই দাঁড়িয়ে থেকে শুনি ঝরে-
পড়ার হাহাকার, পতনের গান জলের চিৎকারে।
মনে হলো ঝর্ণার প্রতিটি ফোঁটায় কী করুণ কান্না!
যদিও খোলা চোখে ও খোলা কানে শুনা যায় না।
কিছুটা কণ্টকাকীর্ণই হলাম, আঘাত পেলাম মনে,
আমিও ঝরে পড়ি জলের অতলে বুঝি ততক্ষণে।
ভীতসন্ত্রস্ত হলাম খুবই, নিশ্চুপ প্রস্থানে স্থান খুঁজি,
অথচ কেউ খুব আনন্দে লাফায়, জীবনটা বাজি।
আসলে ঝর্ণার জলে থরে থরে অথৈ লুকিয়ে থাকে-
হত্যা-আত্মহত্যার চিৎকার, অতো কে বুঝে তাকে!