আমার কান্নার এতোটা ধ্বনি নেই যে ধীরে
আঘাতের শব্দকেও কৌশলে আড়াল করে,
হাসির ছোবলে রক্তাক্ত অশ্রুতে অগ্নি ঝরে,
ভীষণ পুড়ে পুড়ে যায় জন্মমৃত্যুর সাজঘরে।


তাদের শাব্দ তীর এতোটা দ্রুত উড়ে এসে
নির্মম আঘাত করে কলিজার খাঁচায় শেষে।
কখনো মৌমাছির দলের মতো ধেয়ে আসে,
কখনো কাঠঠোকরা হয়ে কাটে আনায়াসে।


এক কোমর মাটির গভীর দাঁড়িয়ে চিৎকার
করে কেঁদে উঠে খুব দুঃখবোধের হাহাকার,
শ্মশানে গোরস্থানে আকাশ ভেঙে ছারখার,
নিস্তব্ধতায় স্তব্ধ হয় যতো শাব্দযজ্ঞ আমার।


ঘরপোড়া মানুষের মতোই কাঁপে হৃদয়খানা,
হত্যাকাণ্ডের অসুস্থ উল্লাসের লাশ দেহখানা,
তবু সময় উঁকি দেয়, মগজে দুঃস্বপ্নের হানা,
নক্ষত্ররা ঈশারায় বলে আমার বাঁচতে মানা।


আমার হৃদয়ে এতোটা খালি মাঠ পড়ে নাই
যাতে এতো এতো রঙিন অমানুষ দিই ঠাঁই।
দুঃখ, এতোটা মাটিও তো অযথা পড়ে নাই,
যাতে এতো মানব পশু মাটিচাপা দিয়ে যাই।