তুলে নাও চোখের পর্দা, খানিক নিজেকে বাঁচাই,
কেড়ে নাও দৃষ্টি, আমি নিগূঢ় অন্ধ হতে চাই।
ঝরে যাওয়া প্রাণের সাক্ষী হতে চাই না আর।
হতে চাই না নষ্ট সমাজের সলাজ নাগরিক।
চেয়ে চেয়ে দেখতে চাই না আর রক্তস্রোত,
রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত, পুরুষের দ্বিখণ্ডিত দেহ,
সম্ভ্রম হারানো নারীর কান্না, অজস্র অহরহ,
ধর্ষিতা বোনের আর্তচীৎকার, পাগল প্রলাপ,
সন্তানহারা মায়ের সে কি করুণ বিলাপ,
চোখ উপড়ানো ভাইয়ের শব, নিত্যনৈমিত্তিক,
গলিত দলিত লাশের মিছিলে উদোম নৃত্য।
আমি আর দেখতে চাই না সভ্যতার আড়ালে-
অসভ্যদের গোপন চুক্তি নথি, দৃষ্টি বাড়ালে,
দেখতে চাই না আর স্বামীহারা বোনের হাহাকার,
মানবের অবয়বে দানবের ধ্বংসযজ্ঞ আবার।
আমি দেখতে চাই না প্রভু এসব জিম্মিদশা,
হতাশার ইতিহাস আর পড়তে চাই না সহসা।
দেখতে চাই না ধর্মের নামে অধর্মের আরাধনা,
দেখতে চাই না আর অপশক্তির বেহায়া বন্দনা।
বিচারের নাম করে চর্চিত নারকীয় আচরণ।
দেখতে চাই না আর এই বিশ্বচরাচর, ভুবন।
আমাকে স্রেফ অন্ধই করে দাও, এক্ষুণি, এখন,
চোখ বুঁজে কাটিয়ে দিবো বাকি জীবন, অসহন।