হিংসের অনল জ্বলে ঝলঝল, প্রত্যহ ঘৃণার দাবানল, উপচে পড়ছে সদা,
মানুষে মানুষে বড্ড বাড়াবাড়ি, অমানুষি ভাবসাব, ছুটছে নোংরা কাদা।
এতো দ্রোহ আগে কখনো দেখেনি পৃথিবী, দেখেনি দিন পঞ্জিকার তারিখ,
সরব নীরব বিদ্রোহ চলমান, দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়ছে, তব্ধ চারিদিক।
অবাধ্যতার ঢেউ, কেউ কেউ খুব খামছে ধরেছে মায়ের আঁচল, মানচিত্র,
রক্তের দুর্গন্ধে ছাপা গোটা দৃশ্যপট, উলটপালট সব, অচেনা শত্রু মিত্র।
রক্ত রাঙানো পথের দু'ধারে প্রাণ হাতে নিয়ে সারি সারি বসে আছে ক্রোধ,
অযথা জ্বালাতন, কেতন ওড়ে ধ্বংসের, বর্বরতায় নিগৃহীত জীবনবোধ।
রাস্তার মোড়ে মোড়ে ওড়ে গোলার ধোঁয়া, কাঁদুনে গ্যাসে কাঁদে জনপদ,
এ'যেনো যুদ্ধ বেশ, শেষ করেই দিবে স্বদেশ, নগর শহর, রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ভাইয়ের হাতে নৃশংস প্রাণ দেয় ভাই, পায়ে দলে গুলি চালায় বাবার বুকে,
বোনের শরীর সম্ভ্রম তছনছ, রক্ত স্রোতে ভেসে লাথি মারে মায়ের মুখে।
বারুদ-গন্ধে শিশুদের রক্তবমন, বয়সীর দিন শেষ, কে শুনে কার মানা!
সোনার দেশে রক্ত খেলায় মেতেছে সবে, দেশটা যেনো এক কয়েদখানা!