জানি না কোন সে ঠিকানা হতে ধেয়ে বেয়ে এলাম এ ধরায়,
অজানা সে পথ, গন্তব্য তব ডাকছে নীরব চোখের ইশারায়।
ভাবি তবে শূন্য হতে এসেছি ভবে স্বল্প সময়, ক্ষণিক তরে,
যেমন খুশি কাটিয়ে সময় দ্রুত বিলীন গহীন মাটির ভিতরে।
যেমন কভুও ছিলাম না ধরায়, রবো না তেমন করে আবার,
নিশ্চিহ্ন হবে সমস্ত কিছুর, দামী এ দেহখানা মাটির খাবার।
কোথা হতে এলাম, কেমন করে, কীই-বা করছি আজ, আর-
যাবো কোথা, কখন যাবো, চিন্তার খোরাক, গভীর ভাববার।
একদিন তছনছ হবে সমস্ত কিছুই, বিনাশ হবে এ বিশ্বভূবন,
সে মহা প্রলয়ে সমাপ্তির পরে আরম্ভ হবে এক নূতন জীবন।
কঠিন দিবস, বড়ো অসহায় মানুষ, হুশ রবে না কারো কিছু,
পাগলপারা ছুটবে দিগ্বিদিক, দৌড়ঝাঁপ এর পিছু, ওর পিছু।
সমস্ত দিগন্তে স্রেফ মুক্তির আর্জিতে হাহুতাশ চলতেই রবে,
কোনো ক্ষমতা রবে না কারো, বিচারক এক আল্লাহ-ই হবে।
প্রার্থনা করি ক্ষমার, ভিক্ষা করি মুক্তি, সেদিন বড়ো ভয়াবহ,
ভরসা কেবল আল্লাহই, সামান্য সাহায্য করারও রবে কেহ।
ফরিয়াদ প্রভু হে রহমান, হে অন্তর্যামী- মহিমান্বিত মহীয়ান,
কঠিন সেই দিবসে ক্ষমা করো, জারি করো মুক্তির ফরমান।