এক-ঝাঁক আঁধার তাড়িয়ে বেড়ায়, তবু ঠাই দাঁড়িয়ে থাকি খালি পকেটে।
যদি কখনো আঁধারের চাদর ফেটে বিলি কেটে কেটে রজনীগন্ধা ফোটে।


আমাকে থাকতে দাও ঠাই দাঁড়িয়ে, আঁধারের-ও ঘর-দোর গুছিয়ে রাখি,
খালি ক্যানভাসে একা আঁকতে দাও, আমি আঁধার স্পর্শে নূতনত্ব আঁকি।


ইট পাথুরে নগরে মানুষ ক্রমাগত গতিহীন বিলীন আঁধারের ধাক্কা লেগে,
হাওয়ার কোলাহলে সব ভোলে আনাড়ি আঁকি বিয়োগের ইতিহাস আগে।


আঙুলে ব্যঙ্গ নৃত্যে তুলির তালে ফুটিয়ে তুলি নিঃসঙ্গতার কাতর মিছিল,
সমাপ্তি বিন্দুতে দাঁড়িয়েও বাড়িয়ে দিই দু'হাত, জীবন জ্যামিতি গরমিল।


আমাকে বরং সাত-রঙা রোদ্দুর ভুলতে দাও, যাবো মিশে নিশির গভীর,
নশ্বর বিশ্বের সমস্তই বিস্ময়, সামনে রাক্ষুসে সমুদ্র, ওপারে ভীতির তীর।