ফাগুনের আগুনে ঝরুক জীর্ণ যতো পাতা।
উৎখাত করে সমস্ত দেনা-পাওনার খাতা-
উৎখাত হোক এসব জরা-খরা, দুঃখগাঁথা।


উদ্ধত বুক সোজা টান-টান, কাঁধে কাঁধ,
                   আবার তোলো স্লোগান।
ক্ষোভে বিক্ষোভে উত্তাল ভীষণ চারপাশ,
হটিয়ে রক্ষা করো হে স্বাধীনতার সম্মান।
পানাহার ভোলে অনাহারীর দল-
সারাদিন দেয়ালে মাথা ঠুকে ঠুকে মরে,
দুর্ভিক্ষের কোলে মাথামুখ তুলে কেমন-
সারা-রাত এপাশ ওপাশ ঘোঙানীর সূরে।
একত্র করো সমস্ত বুক ঠাসা,
                আবার ডাক আসে যুদ্ধের,
                          ভারি মুখ ক্ষুদ্ধের।


পায়ে পায়ে মাড়িয়ে চলো,
      উপড়ে ফেলো এই পুঁজিবাদী প্রথা,
শাসন-শোষণ, মহাজনি নিয়ম-কেতা।


দলে দলে দাবিয়ে দাও, তলিয়ে দাও,
সুবিধাভোগীদের মসনদ গুঁড়িয়ে দাও,
ক্ষমতালোভীর সিংহাসন পুড়িয়ে দাও,
জ্বালিয়ে দাও ন্যায়ের আগুন দাউদাউ।


শুনো, কান পেতে শুনো...
অবরুদ্বের অসহ্য জ্বালার নীরব চিৎকার,
তুলো, বুকের সমস্ত সাহস একত্র করে-
দ্যুলোক ভূলোক সর্বত্র প্রকম্পিত করে-
আরো একবার তোলো বজ্রধ্বনি হুংকার।