আজ নদীতে উঠেছে ভীষণ ঢেউ, বাতাসেও শা-শা শব্দের স্রোত।
রাত্রির আকাশে চাঁদ তারা কিছুই নেই, ছেয়েছে ঘন ঘোর আঁধার।
মেঘেদের উড়াউড়ি দৌড়াদৌড়ি, বেশ বেড়েছ আলগা তৎপরতা।
দীঘির জলে থোকা থোকা শাপলা কাত চিত, অজানা অভিমানে।
সন্ধ্যায় নীড়ের সন্ধান না-পাওয়া রাজ-হাঁসের বাচ্চাটিও নিখোঁজ।
ঘরের চালের টিনে থেমে থেমে উড়ে যাওয়ার শব্দ আতঙ্ক ছড়ায়।
বৃষ্টির তো দেখাশোনা নেই, অজান্তে কেঁদে ফেলে বুড়ো মা বাপ।
এরই মধ্যে মসজিদের মাইকে ঘোষণা হয় চূড়ান্ত সতর্কতা বাণী।


নব বধূর অপরিচিত মুখ যেনো জ্বলে থাকা প্রদীপখানি নিভু নিভু।
আরো কতোটা দীর্ঘ হবে এ রাত, আরো কতো গাঢ় হবে আঁধার।
না-জানি কাল ভোর হবে কি না, কিম্বা কেমন দুর্ধর্ষ সকাল হবে!
নাকি নিশ্চিহ্নই হয়ে যাবে ভিটেমাটি বসতবাড়ি, ধুয়ে যাবে প্রাণ!
নাকি আসবে এক প্রলয়ঙ্করী প্লাবন, গোটা আকাশ জমিন সমান!


ঈশান কোণে চেয়ে দেখি ধেয়ে আসছে বিপদ, মুশকিল মুসিবত।
নদীর জলেও ফুটছে উজ্জ্বল আগুন, জীবনের প্রতি মায়া বাড়ছে...