সন্ধ্যার সৌন্দর্য দেখে যে ঘাতক আঘাত করতে ভুলে যায়
তার মনে মগজে যে-টুকুন শূন্যতা রয় তা আঁধারে লুকায়।
অস্ফুট আলো ধীরে-ধীরে কল্পনার প্রান্তদেশে মিশে ক্রমে
স্পষ্টতর বার্তা নিয়ে বেড়ে উঠে অনন্য এক অলীক সম্ভ্রমে।
এ' আলো বাতাস মেঘ চাঁদ তারা আকাশে যে খেলা করে
সন্ধ্যার অন্ধকার সে পথ বেয়ে হেটে চলে নিখিলের ধারে।
গাঢ়তর অন্ধকারের নিঃশব্দতার গভীরতায় কলুষিত মনকে
কেউ ছুড়ে ফেলার প্রতিজ্ঞায় ফিরে অনশ্বর অনন্তের দিকে।
জন্ম আর মৃত্যুর মাঝখানেই সুদীর্ঘ অজগরের মতো সময়
শুয়ে থাকে অলীক অধরা কল্পনার শ্যামল শয্যা পুষ্পময়।
গভীর সমুদ্রে দূর-পাল্লার জাহাজে সাইরেনের মতো করুণ
সুরে কেউ ডেকে যায় অজানায়, দেখবে সে তরুণ অরুণ।
পাহাড়ে' চূড়ান্ত চূড়ায় উড়ে এসে বসে হাসে হতাশা পাখি,
থোকা থোকা রজনীগন্ধার মতো ফুটে মৃত্যুর শ্যামা আঁখি।