হাত বাড়িয়ে চেয়েছি রাত-
        এক চিমটি ঘুমের চুম।
কী চেয়েছি বেশি?
চাইনি চাদর,
সোহাগের আলিঙ্গন,
   কিংবা এক সমুদ্র নির্জনতা।


ভালোবাসাটা বোধ হয় তরল,
আঙুল ফাঁক দিয়ে গলে পড়ে।
মৃত মানুষের শোকে বিশ্বাসী,
তবে তিন দিনের অধিক নয়।


ভেঙে পড়া পোড়া মাটির ঘর,
অন্ধ সরীসৃপেরও পোষ মানা,
ঝর্ণা কল কল কলতান বেয়ে-
নদীতে ছুটে চালার যোগ্যতা।
আমিও অস্ফুট আলোর বেশে
কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঝিমুনি দিই।


বেশ্যা বলে গালমন্দ করে কে?
এ অপরাধ,
ভীষণ অপরাধ,
চরম অপরাধ বটে।
সমস্ত ঘুম কোলবালিশে ঠেসে-
কে ওঠে জেগে এমন বারবার!


অপেক্ষা কিছুটা লম্বা হলে-
   দু'চোখ কোচকে হাই তুলি।
পায়ের পাতা বালিশ চাপা,
    অস্থির দেহে জীবন নগ্নতা।


ভুল তারিখে জন্মদিনের গান,
মাথাব্যথা ওষুধে ঘুমের বডি।
কফি কাপে তেতুলের শরবত-
বিছানার চাদরে দুর্গন্ধ ছড়ায়।
মাথায় হাত রেখে ঘুমা বলা মা-
গরমে চরম হাঁসফাঁস করছে।
জানালার কাচ ভেঙে ভেতরে-
জোছনামাখা জোয়ার আসছে।


চাঁদের গায়ে কি কলঙ্ক আছে!
অদৃশ্যের আড়ালই সে বিষয়।
জ্বরে গা পুড়ে গেলে গলে যায়
চোখের শীতলতা, আফসোস।
এক গ্লাস জল খাইয়ে দেয় না
কেউ, কেউই নেই আশেপাশে।