বাইরে যতোটা দেখছো আলো ভিতরে ততোটা অন্ধকার,
বাইরে যতোটা গুছিয়ে রাখি ভিতরটা গুছানো খুব ভার।
ছায়ার দৈর্ঘ্যও ছাড়িয়েছে আমায়, বিদায়ে হয়েছি উদার,
বিষাদের মুখোশে রঙ মেখে ছুঁয়েছি তো ধ্বংসের মিনার।


বাহ্যিকে ফুটছে ফুল অন্দরে অন্ধকারেই ভেঙে খানখান,
ভিতরে দুঃখ প্লাবন উপরে যদিও শ্রুতিমধুর পাখির গান।


অস্তমিত সূর্যের শেষ আলোকরশ্মিটুকু পশ্চিমে দেয় ডুব,
সেও নির্লিপ্ত বিলাপে বুক ফাটাবে ভিতরের আঁধারে খুব।


কেউ তো যায় না ভিতর, এ' গতর চিরে দেখে না অন্দর,
মশাল হাতে আঁধার প্রাচীর ছুঁয়ে কে আলো জ্বালে প্রখর!
আমি যে নিজেই যাই না ভিতর, বাইরে ঘুরে মরা অন্তর,
সুখের পদচিহ্ন মুছে গেছে, শুকিয়ে গেছে প্রাণের প্রান্তর।


সতর্কতা, ভিতরে এসো চুপিসারে, দ্বার খুলো একে একে,
খুব গভীর উপলব্ধি করো অভ্যন্তরের আঁধার মাড়ায় কে!