আমিও তো চিৎকার করে তোলপাড় করে বলতে পারি-
তুমি খুনি।
তোমার কুৎসিত কালো হাত আমাকে গলা টিপে হত্যা করতে গিয়ে-
রেখে গেছে অসংখ্য স্পষ্ট ছাপ,
চোপচোপ দাগ, ক্ষতচিহ্ন, নখের আঁচড়।
এই যে বুকের মাঝখানটায় স্পষ্ট বসে আছে-
বাম হাতের পাঁচ আঙ্গুলে চেপে ধরার মানচিত্র।
চোখে মুখে রঙিন রুমাল বাঁধার ভাজ,
হাতে পায়ে সোনালি দড়ির লাইন লাইন ক্ষতচিহ্নে রক্ত ঝরে,
আমিও যত্ন করি তাদের।
আমিও তো হতে পারতাম প্রতিবাদী, বিপ্লবী বিদ্রোহী।
চিৎকার করে বলে দিতে পারতাম তোমার সন্ত্রাসের আদি অন্ত, ইতিবৃত্তি।
চিৎকার করে স্লোগানে স্লোগানে বলে দিতে পারতাম তুমি খুনি, হত্যাকারী।
তবে কী করে বলি বলো-
তুমি খুন করার আগে যে আমি নিজেরই গলা টিপে, মুখ চেপে ধরে,
চোখ উপড়ে ফেলে, হাত-পা গুঁড়িয়ে, মগজের খুলি উড়িয়ে দিয়ে,
বুকের উপর আশা-ভালোবাসা স্বপ্ন-সোহাগের পাহাড় তুলে দিয়ে-
নিজেকেই করেছি খুন, বহুবার, বহুগুণ।
হে আমার অসভ্য সভ্যতা!
তুমিই আমাকে করেছো খুন,
যদিও আমি তোমার আগে নিজেকে করেছি খুন, বহুবার, বহুগুণ।