বিস্তর বিস্তীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে এখানে এসেছি,
মাঠ ঘাট নদী পাহাড় ক্ষুব্ধ সমুদ্রও ভেসেছি।
তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ নামে অজগর,
সাঁতরে পেরিয়েছি রক্তস্রোত এক মহাসাগর।
আমি বড্ড পালাতে পালাতে এখানে এসেছি,
নির্ঘুম অজস্র রজনী দিন অনাহারী হেঁটেছি।
পেছন ফেলে এসেছি নমুনাহীন দগ্ধ পদচিহ্ন,
কিছু স্থান, ছোপছোপ রক্ত লেগে আছে ক্ষীণ।
আমার রক্ত মাংস গায় অতিকায় ঘটছে ক্ষয়,
চারপাশে অশেষ জননিরাপত্তাহীন, বেশ ভয়।
এখন কান্নার শব্দ তাড়া করে বেড়ায় সর্বক্ষণ,
ভীত হৃৎপিণ্ড ফেটে যেতে চায় যখন তখন।
আমি পালিয়ে এসেছি....
ভয়ের খোলস ছাড়িয়ে,
লাশের মিছিল মাড়িয়ে,
                   আধকাটা হাত নাড়িয়ে,
                  ছিন্ন বিচ্ছিন্ন পা বাড়িয়ে,
                           আঁধারের চাদর জড়িয়ে,
                           অনন্ত মৃত্যুভয় তাড়িয়ে।
আমি পালিয়ে এসেছি কাঁদতে কাঁদতে খুব,
মরতে মরতে বেঁচে যাওয়া সমস্ত মৃত্যুকূপ।
আমি আর কাঁদতে পারি না, বাইরে পাহারা,
সন্ধানী নখর ওঁৎ পেতে আছে কে বা কারা।
একলা বন্দী যেমন বদ্ধ আঁধার ঘর, দমবন্ধ গহ্বর।
নিশ্চুপ নিরালা, নিঃশব্দের গর্জন, নির্জন প্রহর।
পাথরে মাথা, মাটির তোষক, বিছানার নিচে বিষ,
অপমৃত্যুরা হাত নেড়ে ইশারায় মুখে ডাকে শীস।
পালাতে চাই আমি, এভাবে হাঁপিয়ে গেছি ভীষণ,
পালাতে পালাতে....
মৃত্যুপথে দেখে যেতে চাই সব অপশক্তির পতন।