চৈতালি কড়া রোদে পোড়া, নির্জনতার নূপুর বাজিয়ে দুপুর এসে সেজে-
যেনো এক আকাশ হতাশার বাণ বিঁধে ক্ষীণ সুরে বাজায় গহীন দুঃখের বীণ।
দখিনা দুয়ারের চৌকাঠে ঠেস দিয়ে ঠাই বসে ভাবি- সেই পথ, মাট ঘাট,
প্রান্তর,ধুধু লোনা চর, নদী মোহনা, জোয়ার ভাটার টান চলমান রাতদিন।
সেই একই কোলাহল, কলকল জলধ্বনি, কাদামাটির খুনসুটি, মেঘেদের দল,
পাখিদের ওড়োউড়ি, থরেথরে নদীভরা সাম্পান তরী, চিরচেনা সুনীল আকাশ।
সবটাই তেমন আছে যেমন ফুলের চারা ভরা উঠোন, পুকুরপাড়ের বৈঠকখানা,
বৃক্ষরাজি নাচে ঠিক আগের মতোন, কেবল নেই উপভোগের সেই অবকাশ।
কেবল জীবনের অগ্রগতিতে পতিত হয়ে আপাতত মায়ার বাতি নিভিয়ে-
আত্নীয় স্বজন প্রতিবেশী পরিজন গিয়েছে বহুদূর, হয়েছে প্রেমহীন প্রীতিহীন।
সুদূরের মায়া দূরে ঠেলে ক্ষণিকের অতিথি বেশ শেষে অবশেষে নিঃশেষ হতে-
এই মাটির কোষেকোষে মিশে যেতে ফিরবো সবাই নিশ্চিত কোনো একদিন।