ও হে রাজা,
ভাবছোটা কী!
দেখছো নাকি?
প্রজারা ঠিক কেমন আছে? কেমন করে খাচ্ছে ধাচ্ছে?
অনাহারী ফিরছে মানুষ, অশ্রু কেমন বাষ্প হয়ে ভাসছে!
বুক পকেটে সর্বনাশের দুঃখ পুষে অমনোযোগ কাজে!
অভুক্ত শিশুর করুণ কান্না কেনো কানে কেবল বাজে?
শতবর্ষীর খিদের জ্বালায় ছটফটানি, খুব লাগছে বাজে!
রাজা, দুঃখ দশা ভর করেছে, কপাল পোড়ার ভাঁজে।
কাল কেমন করে মুখ দেখাবে? লাল হবে না লাজে!
ওহ, তুমি তো ভাই শাসক মানুষ, শোষক তো নও কভু।
তবুও কেনো ক্রন্দনরোল! প্রজার জীবন প্রদীপ নিভু নিভু।
ন্যায্য বিচার হচ্ছে নাকি তেমন কোনো রাজ্যে তোমার?
অনাহারীর মহামারী, সর্বহারা বেঁচে থাকার শঙ্কা সবার।
আয়েশ ভুলো, দুয়ার খুলো, আঁখি মেলো, মুখটা তুলো।
রাজ্যটারে দেখবে এবার প্রাসাদ ছেড়ে বাইরে চলো।
রাজা, হাতটা বাড়াও প্রজার তরে, এগিয়ে যাও সঙ্গ করে।
নাও লুটে নাও ভালোবাসা, আকাশ সমান দু'হাত ভরে।