কতোই না স্নিগ্ধ ছিলো তবে পেছনের ফেলে আসা দিন সব!
ফেরেশতাদের মতো আলোকিত ছিলো সেই পবিত্র শৈশব!
হয়নি যখন এই পৃথিবীকে দু'চোখ মেলে গভীর নয়নে দেখা,
হয়নি যখন ধরার বুকে জীবনের বাঁক, নিজের নামটি লেখা;
সস্তা সব তত্ত্বীয় বুঝে অবুঝ প্যাঁচ আমার যখন হয়নি শেখা-
তখন আমার শুভ্র ভাবনাজুড়ে ছিলো এক অপার্থিব সৌরভ!
আমার নিষ্কলুষ প্রাণ, ভাষায় ছিলো-নাকো রুক্ষ কঠিন ছাপ,
আমার হৃদয়ে সরব হয়নি তখনো পার্থিব লোভ অথবা পাপ!
মানুষের সাথে সেই কখন আমার দেখা হয়েছিলো,
                                 মনে করতেই পারছি না আজ।
আশেপাশে মানুষের মুখোশ আঁটা অমানুষই সব,
                                হারিয়ে গেছে মনুষ্যত্ব ও লাজ।
সবাই অর্থের পুজারি, এপথে কভু ব্যর্থকে নিতে চায়নি কেউ,
কেউ পেয়েছে সেই পথের সন্ধান কিম্বা কিছুই পায়নি কেউ।
ধরা, তোমায় ভালোবেসে গোপন যে ভুল করেছি সীমাহীন,
তার ক্ষমা নেই, ক্ষমা নেই, প্রায়শ্চিত্তও হবে না কোনোদিন,
দেহজুড়ে ঝড় বয়ে যায়, সয়ে সয়ে তুফান ওঠে হৃদয় গহীন,
বুকভাঙ্গা সব বেদনার আর্তনাদ চাপা পড়ে হয় দুঃখের বীণ।
বুকে চেপে রাখা দুঃখগুলো যে দিনে দিনে দু'দশগুন বাড়ে,
বুক থেকেই সব দিক ছড়িয়ে পড়ে, রক্ত মাংস মজ্জা হাড়ে।
মন, চেনোনি স্রষ্টাকে, ঠিক বুঝোনি তো সৃষ্টিকেও, নির্লোভ,
অযাচিত প্রতিযোগিতার জীবনচক্রে বক্রতার ক্রেতাই খুব,
সহজতার আজ সহজাত নে-ই তেমন, প্রদর্শনপ্রিয়তা তবু,
চেয়োছো স্রেফ চাওয়ার তাগিদেই, হৃদয় দিয়ে চাওনি কভু।
আঁখিজল যদি না-ঝরে গোপন, ও মন,
                 ওগো, রেখো-গো বাকি তার খানিক আপন।
যদি ঝরে ঝরে যায় তার অজস্র শ্রাবণ,
                মুছে দিয়ো তবে বুকে চাপা মহা এক প্লাবন।