খুউব মন খারাপের ধূসর দিনে চেয়েছি বিস্তীর্ণ মেটো পথ ধরে হাঁটতে,
এক টুকরো নীল আকাশ, রোদ মেঘ, নদীর শীতল শুভ্র জলে ভাসতে।
চারদিক ছেয়েছে জঞ্জালাদি, পায়ের ছাপ, দুর্গন্ধ ও ইট পাথরের খাঁচা,
ধুলোবালি ধোঁয়ায় ঝাপসা আকশ, দূষিত বায়ু ক্ষীয়মাণ আয়ুতে বাঁচা।
কোথা' নেই কোনো এক খণ্ড সবুজ সতেজ প্রান্তর, অন্তর প্রশান্ত করে,
মানুষে মানুষে চাপাচাপি, ঘেঁষাঘেঁষি, রেষারেষি, বন্দী-দশা বদ্ধ ঘরে।
যেদিকেই তাকাই সর্বভুক লোভের সাঁকো, স্বার্থের নদী, জল কলকল,
কী করে হই পার, দুই পারেই অহেতুক অহমের কুমির, কোমর দুর্বল।
দূরে ঘোর হিংসের আগুন জ্বলে, তলে তলে বোতল বন্দি ঘোর বিদ্বেষ,
হাঁফ ছেড়ে বসে পড়বো; সে সুযোগ নেই, সন্ধ্যা নামলেই যাত্রা শেষ।
কীভাবে কী করি বলো আর, ভাবছি, এভাবে থাকার কি আছে উপায়!
তবু চলি, হাঁটুজল হাঁটি, ভাবি ঘুরে আসি মনের খুব গহীন গভীর হতে,
অনুভবে ভেসে উঠুক না-বলা কথাকলি, স্পর্শও হোক না-ছোঁয়া হাতে।
দেখে আসি ইচ্ছে পাখি ঠিক কেমন করে ডানা ভেঙে পড়ে আছে নীরব,
ঠিক কেমন করে যাচ্ছে মরে আশার শিহরণ, চাওয়া পাওয়ার গৌরব।
কোথাও তো নেই কেউ বাড়ায় দু'হাত, সাথ করে যে পার করে সাঁকো,
অবুঝ মনকে বুঝাই; পড়ে রও নীরব, শোক-কে স্বপ্ন-তুলিতে আঁকো।