হতাশার বাতাসে ভেসে ভেসে জীবনটা বিষণ্ণতায় গেঁথে গেলে আমি সাগরের কাছেই যাই।
ঠাই বসে বসে বালুচরে, সূর্যের উত্তাপের প্রতাপে নিজেকে কিছুটা আরো আরো পোড়াই।
বাতাসে করে ভেসে আসে অন্যদের রঙিন স্বপ্নের ধুলোবালি, কলি কালি, মরচেধরা ছাই।
সাগরের জলে রুপ খোলে খুব খেলা করা গাঙচিলদের দেখে আগে নিজেকে কিছু বাঁচাই।
তাড়া খেয়ে ওড়ে আসা দু'একটা কাটাছাটা ঝরা পাতা, বাদামী খসখসে, শুকনো মচমচে,
বিধ্বস্ত প্রকৃতির কোলে সরস বসন্ত নামার আশ্বাসের বিশ্বাসেই যেনো তারা থৈথৈ নাচে।
একটু আধটু করে বুঝতে শুরু করি নিজেকে, খুঁজি আরো গভীর, ভাবনার দুয়ার খোলে,
অবাক ভাবতে থাকি- গোটা সাগর কতো শতো অযুত নিযুত সর্বগ্রাসী রাক্ষসী ফনা তুলে।
আবার একটা সময় নিতান্ত ঘুমন্ত শিশুর মতো কতো শান্তই হয় এই শুভ্র সফেদ জলরাশি।
সাগরজলে গা ভাসাতে, জলের আঁচলে পা ডুবাতে, ডুব সাতারে কতোই না ভালোবাসি!
হঠাৎ করে ইচ্ছে করে- আস্ত হৃদয়টা সস্তায় বেছে দিয়ে কিনে নিই একখণ্ড সুনীল আকাশ।
যাতে কিছু তারা, আধখণ্ড চাঁদ, শাদা মেঘের বাগান, পাখিদের গুনগুন গান, শীতল বাতাস।
এই জলে দু'পা ডুবিয়ে তারা গুনতে গুনতে যান্ত্রিক পৃথিবীর কলহ কোলাহল ভুলে যাবো।
অকস্মাৎ আকাশ ভেঙে যদি কোনো তারা ধসেখসে পড়ে, জলের শব্দে সলীল সমাধি নিবো।