আমি তো বুঝি না ঠিক, টিক টিক ওই ঘড়ির কাঁটা কী যে বুঝায়, হায়!
অসহায় মন, খুঁজি কারণ, ভাবি অকারণ, ভারাক্রান্ত হৃদয়, গরমিলে সবি।
খুবি অসহ্য লাগে, অস্বস্তি লাগে, আগেকার গোলাকার চলমান আকার।
দুর্বার, যেনো যন্ত্রণার তান্ত্রিক মন্ত্রে গড়া এক আজব যন্ত্র! সময় নস্যাৎ।
অকস্মাৎ মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে গেলে, চোখ মেলে দেখি কাঁটার ঘূর্ণন।
নয়ন বুজে শুনি কর্ণকুহরে-
দূরে কী এক কুৎসিত বিশ্রী বাজে সুরে মৃত্যুর ফেরেশতা সাইরেন বাজায়!
সাজায় আমার মরণ কালের বরণডালা, ছন্দে ছন্দে, মনের আনন্দে।
পরমানন্দে আমিও একদিন, নিঃশব্দে চলে যাবো নিঃস্ব হাতে,
প্রভাতের প্রস্ফুটনে নয়ন মেলে, অথবা কোনো পূর্ণ অমাবস্যার রাতে।
তাতে কী আসে যায়।
কায়মনোবাক্যে জপি, শিশিরের ঝরে যাওয়ার মতো সুন্দর হোক প্রস্থান।
স্থান কাল মুখ্য ব্যাপার নয় তেমন, যেমনি হোক, প্রার্থনায় রেখো।
দেখো, অতীত হলে, যেয়ো না ভুলে, আমি তোমাদেরই সন্তান।