আমি তো ছিলাম এক আঁধার গুহায় সাড়ে সাত-শো কোটি বছর।
ভয়ঙ্কর নীরবতার বাদ্যযন্ত্রে ঘটেছে ব্যাঘাত প্রতিক্ষণ মুহূর্ত, দিবস রজনী।
আমি নিষ্প্রাণ বরফের মতোই স্পর্শকাতর পড়ে ছিলাম অগোচর।
কেউ তো বুঝেনি বিন্দুমাত্র, কেউ খোঁজেওনি, কোনো চোখ সত্য সন্ধানী।


আমি একশো কোটি বছর, তারও দীর্ঘ দীর্ঘ রাত নির্ঘুম কাটিয়েছি।
বাতাসের শব্দের মতো কিছু কান্না লুকিয়েই অশ্রু ছুঁয়ে গেছে কতোদিন।
আমার আহাজারি শুনেনি কেউ, করেনি ভ্রূক্ষেপ, জ্বলেছি পুড়েছি।
কতো শতো সূর্যোদয় সূর্যাস্ত দিগ্বিদিক স্বচ্ছ সাগর জলে হয়েছে বিলীন।


বুঝেনি কেউ নিকট দূর, আত্মীয় অনাত্মীয়, প্রতিবেশী অধিকাংশ।
ছাইয়ের মতো উড়েছে আকাশ, পাহাড়ের চূড়ায় পুড়েছে এই হৃদয়খানা।
অস্তিত্বের জানান দিতেই খেয়ে নিয়েছি হাত পা, বুকের অর্ধাংশ।
এসবে প্রতিদান দিবেই, সুদূরের ডাক বেজে উঠলেই খুলবে দুয়ারখানা।