পুরুষের কোমর চেপে ধরে ভয়াল কিছু কালো রাত,
অজানা কিছু পঙক্তি বুক চাপড়ানো আর্তনাদ করে।
শয্যার আদলে বিছিয়ে রাখে গহীন দুর্গম গিরি পথ,
ধোঁয়া ও কালি ফালি ফালি প্রোথিত দৃষ্টির খোয়াড়ে।
শক্ত মাংসের তলে তলে ফুলে ওঠে অনিচ্ছার ক্লান্তি,
বহুদূরের কণ্ঠধ্বনি আগুনে পুড়ে যাওয়া বাঁশ যেমন।
মর্মান্তিক রক্তক্ষরণ আক্রান্ত মগজের ভাঁজে ভাঁজে,
ক্রমশ আকাশ হতে বর্ষণের মতো অপারগতার হাত।
কলঙ্কের দাগ মুছে দিতে ছায়াদের সাথে লুকোচুরি,
স্ত্রী সন্তানের মুখ শাদা শাদা গোলাপ হয়ে ফুটে রয়।
কপালে বিশাল চিন্তার ভাঁজ খাঁজ কেটে রাখে ঝর্ণা,
ইতিহাস বদলে দিয়ে মশাল জ্বালে এই ঝর্ণার জল।
মৃত্তিকার গন্ধ  শ্যাওলা জমা জলজ মিলে একাকার,
ঘাড় বেয়ে নামা নোনতা জল তৃষ্ণার্ত আত্মার ক্রন্দন।
রক্ত ঘাম মাংস মেদ মিলে গাত্রে শত্রুমিত্র রূপান্তর,
ঠিক ঝরে পড়া শিশির যেনো খসে পড়ে বস্ত্র বসন।
পুরুষের হাত ধরাধরি করে হাঁটে মৃত্যুর ফেরেশতা,
পদতলে বিছিয়ে রাখে শুভ্র সুন্দর কাফনের কাপড়।