স্বর্গের তলদেশে বয়ে যাওয়া বর্ণীল রঙ ঝর্ণাধারার অধর হতে ধেয়ে আসা-
স্ফটিক জলাধার, ধরার বুকে এনেছো ঐশ্বরিক পসরা, দৃশ্যত বিস্ময়!
শতো শতো বছর কাল অবিকল বয়ে যাওয়া স্রোতধারা, অকল্প অবিকল্প,
নির্বিঘ্ন নির্ভেজাল উজ্জ্বল জলধারা, কভু নেই কোথা' নেই নিশ্চয়।
এক ঢোক স্বচ্ছ জলে এই অনুজ্জ্বল দেহের মানচিত্রের শিরায় শিরায়
কোষে কোষে জ্বলে থাকা অনন্ত অনল তৃষা মিশিয়ে দাও অশেষ সুখের বন্যা।
মিলিয়ে দাও তুষের আগুন ঘুষেঘুষে জ্বলা, মিটিয়ে দাও দাউ দাউ
পোড়া হৃদয়ের লেলিহান দহন, অসহন অকথন ভীষণ যন্ত্রণা।
চোখের কোণায় জমে থাকা লোনাজল, দুঃখের সাগরে উঠা কূলভাঙা জোয়ার,
নদীর মোহনায় জল কলকল চুষে পুষে রেখো আমায়, মনোকায়।
কলিজা ভিজে যাক পবিত্র জলের ঝাপটায়, ধুয়ে যাক জরা খরা,
ক্ষয়ে যাক ব্যধি, তৃপ্ত আলোকিত সুসভিত হোক স্বর্গীয় শুভ্রতায়।
আমাকে ভাসিয়ে নাও প্লাবন যেমন, চুবিয়ে শীতল করো অতলে ঢেলে,
আবারও প্রাণ  ফিরে আসুক জরাখরা দুঃখভরা আধমরা কঙ্কালে।
আমাকে ভিজিয়ে রাখো আগাগোড়া পোড়া শরীর, আত্মার ভেতর
নিমিষে পিষে যাক পঙ্কিলতার দৌরাত্ম্য, আত্মার শুদ্ধতায় কালে কালে।