আমি আজ তোমার ওপর
ধোঁয়া ওঠা বর্ষার মত ঝরবো,
ভাসিয়ে দেব ভীষণ ভালোবেসে
তৃপ্তির চুমুক হবে
তপ্ত চায়ের কাপে সময় নিয়ে চুমুর মতো।
আজ জল কাদার মাখামাখি হবে
রীতিবিরুদ্ধ খামখেয়ালীপনায়,
বৃষ্টি  হয়ে আজ
আমি লেপটে দেব তোমার লজ্জা তোমাতেই
আর চেয়ে চেয়ে দেখবো নির্লজ্জ হয়ে।
কামনার সংবিধানে
অসাংবিধানিক বলে যে কিছু নেই !
ঝড়ো হাওয়ায় তুমি করো না
আঁচল সামলানোর চেষ্টা,
শুধু চোখ বুজে মেনে নিও
ভাঁজ খোলার আবদার,
আমাকে দিও ভাঁজ ভ্রমণের  ছাড়পত্র।
ভালোবাসার চালে বৃষ্টির তুমুল নৃত্যে
নিজেকে দোলাও তুমি,
আর আমার হাত ধরে জানিও
যুগল নৃত্যের আমন্ত্রণ।
এই তামাম বর্ষা-প্রান্তরে
দুজনে ফেলে দেব ওম কুড়ানোর ধুম।
বহুদিনের অনভ্যাসের বজ্রপাতে
আঁতকে ওঠা তোমায়
আমি আরও আঁকড়ে ধরে দেব
'কিচ্ছু হবে না' শিরোনামের সাহস।
'বর্ষা'র আত্মজীবনী লেখা হলে
সে তার বয়ানে নিশ্চয় বলতো-
কামনার অনেক মেঘ জমিয়ে
ভূমি সঙ্গমেই সে বৃষ্টিপাত ঘটায়!