দেশপ্রেমের বুলি কপচানো খুব সোজা
কোন পয়সা খরচ নেই
এমনকি নিজেকে স্বদেশ প্রীতির
ন্যূনতম দৃষ্টান্তও স্থাপন করতে হয় না।


মাথায় জাতীয় পতাকা বেঁধে
চলে সোল্লাসে চাঁদাবাজি।
একুশ ছাব্বিশ ষোল তারিখে
হৃদয়ে বাংলাদেশ বলে
সং সাজলেই চলে;
নিজ দেশের সামান্য পরাজয়ে
দেশ মায়ের চৌদ্দগোষ্ঠি উদ্ধার করাই কি দেশপ্রেম?
মায়ের পরাজয়ে কারোরেই নেই
সমবেদনার অশ্রু।
পেট ভরে চলে অনিয়মের আহার
আর কেউ তার সমালোচনা করলে
দেশদ্রোহী রাজাকারের তিলক বরাদ্দ তার জন্য।
লক্ষ কোটিপতির দেশে
শীর্ষ করদাতা জর্দা কিংবা তামাক ব্যবসায়ী;
আর কালো টাকা সাদা করার
সরকারি রেয়াত চলে বছরের পর বছর।
আর তাই কালো টাকার মালিকেরা
দিন দিন দ্যুতি ছড়ায়।
এখানে দেশপ্রেমিক হতে
দেশকে কর দেয়ার প্রয়োজন নেই
কিছু চির-সমসাময়িক বুলি মুখস্থ থাকলেই চলে।


এখানে দেশপ্রেম মানে
দেশপ্রেমের মুখোশ লাগিয়ে
যাবতীয় সুবিধা হাতিয়ে নেয়ার ধান্দাবাজি।
দেশপ্রেমের ফেরিওয়ালাদের কেউ ডাকে না,
এখানে দেশপ্রেমিক কুজন
আজকাল দেশপ্রেমের দীক্ষা ফেরি করে।