একদা এক জীবন ছিল
অনেক স্বতঃস্ফূর্ত, স্বাধীন ছিল সেই জীবন;
অধুনা স্মৃতির অনুশীলনেও প্রাধান্য পায় সেই দিনেরা
তখন জীবন ছিল চারাগাছের মতো,
সতেজতায় ভরা, বিবিধ রসে পূর্ণ
অনেক যত্ন আর আকর্ষণ পেতো সে সবার।
এখন জীবন বৃক্ষ সম,
বৃক্ষ থেকে সবাই ফল চায়, কি বা ফুল
শুধু চায়, চায়, অনেক ফলন চায়
তেমন কোন যত্ন আত্তির অবিনিময়ে।
দিতে পারাই তার শৌর্যের প্রমাণ, সন্তুষ্টিও বটে,
তার কিছু পাবার অধিকার তখন তামাদি হয়ে যায়।
সংসারে শিকড় অনেক দূর চলে যায়
জীবনটাকে মায়ায় আটকে রাখে।
কেমনে ছাড়ি এই জীবন?
অনেক দুঃসময়েও জীবন বাঁচতে চায়।
বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষাই
জীবনের স্বতঃসিদ্ধ চাহিদা।
আদতে জীবনের স্থায়ী কোন ধর্ম নেই,
সুখ-সম্ভোগেও সে নিরন্তর সময় চায়
আবার কষ্ট-ন্যূব্জ সে সময়কে বয়ে নিতে চায়।