জীবন সাগরে তুমি যদি হও পারাপারের খেয়া
ক্ষতি কি তাতে,
অসহায় সর্বহারারা যদি একটু বাঁচার প্রেরণা পাই তোমাকে পেয়ে ক্ষতি কি তাতে?
স্রষ্টার কোন সৃষ্টি যদি তোমাকে পেয়ে বাঁচতে চাই,
তুমি কি ধন্য হবে না?
এটা তো তোমার জন্য মহা আর্শিবাদ তোমাতেই তারা অবলম্বন প্রত্যাশী।
তুমি যদি মহিরুহু বৃক্ষ হও,
তোমার পাতা ফল ফুলে   থাকে ভরা, বিহঙ্গরা শাখায় বাসা বাঁধে
পথিকেরা বিশ্রাম নেই
ক্ষুধার্তরা তোমার ফল ভক্ষণ করে
তুমি কি সার্থক হবে না?
পাহাড়ী ঝর্না  হয়ে ক্লান্ত
পিপাসার্তকে  তুমি পানি দাও
তৃণলতার মত ভাষমান জীবন যাদের
তাদের আশ্রয় দাও।
তোমার মনুষত্ব মানবতাকে কোন স্কেলে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
তুমি আকাশের মত উদার,
সাগরের মত বহমান।
কেউ তোমার মনে না রাখিলেও
এই ধরণী করে তোমার গুনগান।
তুমি স্রষ্টার সৃষ্টিকে সম্মানের সাথে সেবা করেছ,
কোন ধর্ম বর্ণ গোত্র জাতি নিরূপণ করনি তুমি।
তোমাকে দেখা যায় সৃষ্টির প্রথম থেকে
সেই প্রাগঐতিহাসিক থেকে বর্তমানের কালে,
তুমি এধরায় আসো মাঝে মাঝে স্রষ্টার আশীর্বাদ হয়ে।
কেউ তোমার পরিচয় পাই
কেউ পায় না,
তাতে তোমার কিছুই আসে যায় না।
মানুষ মানুষের জন্য
জীবন জীবনের জন্য
এই ব্রতেই তুমি  পৃথিবীতে প্রেরিত হও,
সেই আদিকাল থেকে।
মায়াবী স্বার্থপরেরা  তোমাকে সহ্য করতে পারেনা।
তুমি যে আঁধারে আলো হয়ে জ্বলো,
অন্যায় পাপের বিরুদ্ধে সংগ্রাম কর।
মুক্তির মিছিলে তুমি অগ্র পথিক,
জন্ম তোমার সার্থক তুমি নির্ভীক।


মোমবাতি হয়ে নিজে জ্বলে
আঁধার করেছ দূর,
সর্বহারাদের কন্ঠে আজ শোনা যায়
জীবন জয়ের সুর।
কন্ঠাকীর্ণ দুর্গম বন্ধুর পথে ওগো মুসাফির,
আশীর্বাদ হয়ে এসেছ এই ধরিত্রীর।
দানবেরা যদি দলিতে আসে তোমারে,
লাখো কোটি সর্বহারারা জড়িবে বাহুডোরে।
তুমি সচ্ছ সলিল নির্মল সমিরন,
প্রবাহমান স্রোতধারা।
নির্ঝর গিরি ঝর্না,
তাগুতের বুকে তুমি বর্ষা।


কে করিবে তোমার পথ রোধ,
তুমি যে অগ্নির ধুমকেতু।
জয়ের মাল্ল্য কণ্ঠে তোমার,
পলায়ন করে পাপ পাষানীরা ভয়ে ভীতু।


স্বয়ং আজাজিল করে ফিসফিস,
হায়রে এ কোন নর উত্তম।
আমার দুর্ভাগ্য রচিল সে,
পাপের মসনদ ভেঙ্গে করিল খানখান।


আধারের চোরা গলিতেও সে আলো জ্বালে
তার সাথে সত্যবাদীরা নাচে তালে তালে।
পাপের রাজ্য সে করে ধ্বংস,
শেষ করে দেই সে পাপীয়সী মায়াবীর বংশ।
হে ধ্যানমগ্ন তাপস তুমি  স্রষ্টার সমগ্র সৃষ্টিকে নিয়ে ভাবো,
মানবতার মুক্তির জন্য তুমি নীরবে কাঁদো।
যুদ্ধ নয় তুমি শান্তি চাও,
ভিক্ষা মাগো তুমি বিশ্বের দারে দারে।
প্রদ্বীপ হয়ে আলো জ্বালো,
তারে  উদ্ধারিতে যে রয়েছে আঁধারে।।