হে অট্টালিকা তুমি কি বোঝেনা আমায়
সৃষ্টির আদিকাল থেকে ছুটছি তোমার পিছে
সাজাচ্ছি তোমায় নববধূ রুপে
কত রাজা মহারাজা এসেছে এখানে
ভোগ করে চলে গেছে সবাই
ভেঙেছে শরীর লজ্জায় হয়েছ লীন
এই পৃথিবীর কোলে হয়েগেছ বিলীন
প্রতি জন্মে নিয়েছ  জীবনের সাদ
প্রতিটি ইটে লেগে আছে আমার রক্তের দাগ
বঞ্চিত করেছ সভ্যতার সকল আলো থেকে
শেষ পর্যন্ত বাঁচব আমি ধিকেধিকে
ঐ তাজমহল কুতুবমিনার লালকিলা হাওড়া ব্রিজ
গড়েছি আমি নিজে হাতে
কখনও একমুঠো অন্ন তুলেদিতে পারোনি পাতে
ভুলেগিয়ে এই শরীরের মায়া বানিয়েছি তোমার কায়া
তবু দিতে পারোনি মাথার উপর একটু ছায়া
শহরের ঐ বস্তির মাঝে  জীবন আজো খোঁজে
একটি অট্টালিকার সন্ধান
কেউ দিতে পারবেনা শ্রমিকের শ্রমের দাম
কোনোদিন অট্টালিকার গেটে লেখা হবেনা তার নাম ।।