ভাবুনী নামের একটি মেয়ে
প্রতিদিন এপারে আসতো ধান খেত বেয়ে
মিলিতে তার বন্ধুয়ার সাথে
গায়ে তার ধুলো মাটি,থাকতোনা পায়ে চটি
আঁচল ভরে আনতো মটরসুঁটি
মৃদু হাসি হেসে আমার কাছে এসে
বলত,সাহেব আমি যাব ?
দেখে তার বেহায়া মনের মায়া
ধরে রাখতে পারিনি তার কায়া
খুলে দিয়ে লোহার গেট
দুই দেশের করাতাম ভেট
ঘণ্টাখানেক পরে আসল যখন ফিরে
বললাম আমি তাকে
সেও কি তার মনে তোর ছবি আঁকে,
একটু স্তব্ধ হয়ে গেটের দিকে চেয়ে- - -
সাহেব তোমার সাথে, একটি কথা আছে
আধেক রাতের পরে আসব আবার ফিরে
পার করো আমারে তুমি ধীরে ধীরে
কথা দিলাম তারে এসো এক নম্বরের ধারে
আঁধার কালো রাতে লুকিয়ে ধানের ক্ষেতে
ডাকল পাখির মতো
উঠল যখন গেটের মাথায়
বিধল কাঁটা পায়ের পাতায়
পাশের গেটের রসুলির বন্দুকখানা
মেলল তখন ডানা
ছিন্ন করলো ভাবুনীর বুক,
ছুটে গিয়ে আমি দেখি
নোনা জলে ভেসেছে তার আঁখি
বললো,সাহেব ভালোবাসা রইল
বেঁধে সীমানার কাঁটাতারে
ভাবুনী শতবার আসবে তার জন্য
এই বাংলাদেশে ফিরে ।