পুরানো বাঁশিটার দিকে তাকিয়ে
আকাশ পাতাল ভাবতেছিলাম
ওর বয়স এখন সবে বারো
সম্পর্কের জালে আটক পরে
কতই না সুরে গান গাইল
মায়ের রান্নার চাল বিক্রি করে
সাড়েপাঁচ টাকাতে ওকে কিনে ছিলাম
মাঠ পাড়ার ফাগুনী মেলাতে
একা একা কত খেলেছি ওর সাথে
ঢেউয়ের তালে তালে হাওয়ার সাথে দুলে
চড়ুইয়ের কানে বলতো কথা
বোকা পেঁচাটা হাসতো নাড়িয়ে মাথা
ভেবে ছিলাম চন্দনা কে
একটি প্রেমের গান শোনাবো
প্রাণের সুরে অভিমানী হয়ে
দিয়েছে গরম শিকের গুঁতো
হয়ে বেসামাল হারিয়েছি জ্ঞান
ভুলেছি সকল সুরের ভাষা
বোবা হয়ে বাঁশি খানা রয়েছে পড়ে
পুরানো ঘরের শিয়রের ধারে
হয়তো আমি চলে যাবার পরে
রইবে বোবা ও চিরতরে
কেউ নেবেনা আপন করে
বুঝবে না ওর ভাষা।