জীবনের সব ক্ষোভ  ভুলে, হোগলা আর বুনো ঘাস বনের আড়ালে
রৌদ্রের ব্যাথার সাথে নিভে গেলে।
জোছনার সোহাগ ছোঁয়ায়
ঘামের দাম না পাওয়া শরীরটাও শুধু একটা আশ্রয় চায়।
সব ব্যাথা যায় ভুলে, তারা যখন আলো জ্বেলে,
ঘুমপাড়ানি গান গায়।
গাছের পাতা একটু নড়ে চড়ে
তারপর ঘুমিয়ে পড়ে
অন্ধকারে কোলে,
জীবন ঘুমিয়ে পড়ে মৃত্যুর মতন।
আবার সকলে উজ্জ্বল হলো
ধানের ক্ষেতে নিয়ে নতুন স্বপ্ন।
যদি স্বপ্নরা ঝরে যায়
সে ভয় তো সকলেই পায়।
প্রতিবাদী হয় না কোন যন্ত্রনা।
ফসল তরঙ্গে সমুদ্র মতো মাঠ ভরা সোনার ক্ষেতে।
দুঃশ্চিন্তারা শ্রাবনের মেঘের মতো থাকে সঞ্চিত হতে।
তবু বিক্ষোভ ফেটে পড়ে না,
হাজার বছর ধরে বঞ্চিত হবার  যন্ত্রণা।
নেভি যায় সব অভিযোগ সন্ধার মতো।
অন্ধকার ভরাট করে সব ক্ষত।
রাতির কোলে সব কিছু ভুলে।
জীবন নদী বয়ে চলে।