হৃদয় গভীরে  শত শত দাগ পড়ে আছে
ছোট,বড়, মাঝারি থেকে  ক্ষুদ্র ও ক্ষুদ্রতম রুপে
চওড়া,লম্বা, চ্যাপ্টা, স্পষ্ট, অস্পষ্ট আকারে
পরে আছে সব দাগ দৃষ্টির অগোচরে
এ আঁচড়ের ব্যাথাও হয়তো ম্লান হবে
কোন এক বসন্তের  রাংগা প্রভাতে
তবু পরে রবে আচর বেহায়ার মতন
সৃতির নিভৃত দেয়ালিকা জুড়ে
আর, অঝোর ধারায় ঝড়ে পরবে বৃষ্টির জল
সেই দেয়ালিকার গা বেয়ে


শ্যাওলার  মত পরে রবে সব সহিংস পদচিহ্ন
মনের বাড়ির ভিটে মাটিতে
নিঃশ্বব্দে হেটে বেড়াবে শব্দজাদুকর
চারপাশের পুষ্প বাগানে
আর হরেক রকম রঙের বাহারে
উড়বে সব ভাবনার ফানুস
চাপা কষ্টের জ্বালানিতে
তবু বসন্ত ফুলের সৌরভ ছড়াবে
মও মও গন্ধে


তোমার আমার সুবিশাল
আকাশসীমাতে ঘুরে বেড়াবে
বিষাদী পাখির দল
উদাসীন বিকেলের বোবা কান্না হয়ে
কবিতার স্তবকে  স্তবকে
ঝরে পরবে দুঃখ গিলে খাওয়া পংতিরা
তবু সে দাগ রয়ে যাবে
যে দাগ রিমুভার দিয়েও দূরীকরণ হবে না
একের উপর অন্যে চাপা পরবে তারা
তোমারা-আমার সীমান্তের দেয়ালে
ঝেড়ে ঝুড়ে ব্যাথাগুলো শুধু ম্লান হবে
কিন্তু দাগগুলো পরে রবে নিঃসংকোচে
তোমার আমার মনের গভীরে


কোন এক আমাবস্যায় চিন চিন করে উঠবে
সেই আচড়ের ব্যাথা
আবার পুনরাবৃত্তির অনিয়মতান্ত্রিকতায়
সেও হারাবে ক্ষানিক বাদে
শুধু রয়ে যাবে সব চিহ্ন
হৃদয়ের গভীরে
নিশ্চুপ আর্তনাদে


আবার সেই দাগরে উপরেই খচিত হবে
আমাদের সব ভালোবাসা,ভালোলাগা
ভালো থাকার সৃতিফলক
তুবু  ব্যাধাতুর ঘোরে
সে ফিরে আসবে
কোন এক আমাবস্যার ঘুটঘুটে অন্ধকারে
সমাবেশ করতে করতে ফিরে আসবে
আবার ফিরেও যাবে ব্যার্থ হয়ে
তোমার-আমার আংগিনা ছেড়ে
শুধু নির্বাক ব্যাথার দাগ গুলো রয়ে যাবে
তুমার-আমার অলক্ষ্যের গল্পে
অস্পষ্ট সৃতিপটে