ছোট ছোট আশা,
ছোট নীড়ে বাসা,
ওই গাঁয়েউ থাকি আমি,
সেথা সবুজে রয় ঠাসা।
কতজন কত করে
ব্যাবসা,চাকুরে,
কেউ রয় ব্যস্তবস্ত
কেউ ভবঘুরে।
ঠিক যেন ছোট খাল
বড় নদী ঘেরা,
নদীতে কত মাছ!গাছে
ফল ছড়া ছড়া।
নিত্যি সেথা ভেসে আসে
নয় রাখালের সুর,
দিব্যি করে হররোজ গাঙে
নাহিতে নামে হুর।
শিমুল পাতা কোমল লতা
আরো কতো কী?
রাতদুপুরে ঘুমের ঘোরে
বাদুর ঘোরে চ্যা্কচি্কি।
ডুমুর গাছে শিশু ধরে
ছেলেখেলার ছলে,
স্বপ্ন রঙের জীবন সেথা
রঙের পথে চলে।
পূর্ণিমা রাত সেথায় আসবে
বারেবার ফিরে,
নীলকণ্ঠী প্রজাপতি প্রতিদিন
যায় উড়ে উড়ে।
পবনের মৃদঙ্গ তালে দোলে
শাখের সবুজ নীড়ে,
কত কত ডিঙি রোজই
ভিরে আমার তীরে।
মায়ের কোলে খুব যতনে
খোকা খুকি নাচে,
চাতকেরা এই গাঁ ছাড়া
বলো কোথা বাঁচে?
পুঁইয়ের ডগা মাঁচার তটে
একটু নড়েচড়ে,
খেজুর পাতা চাটাই করে
বসায় বর সরে।
সূর্য মামা উঠবারও আর
যায়গা পেল না,
সন্ধ্যা বেলা ডুবে গেল
সেওতো আমার গাঁ।