ভবিষ্যতের ভাবনা
মানিক চন্দ্র গোস্বামী


মনে বড় ভয়, পাবো কি না পাই মধুর ভবিষ্যতে;
নতুন করে ভাসবো কি আর কান্না-দুখের স্রোতে |
মেঘের কোণে ঝিলিক মারে অশনির সংকেত,
সবুজ ধানে ভরবে কি আর উর্বর এই ক্ষেত |
বড় ভয় জাগে যখন তাকাই ভবিষ্যতের পানে,
আশা কি আবার জাগবে নতুন আশাহত এই মনে |
সবই যেন ক্রমে, প্রান্তের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছে পা;
চেষ্টা যতেক বাঁচার তরে- বিফল হয়েছে তা |
হাঁ করে গ্রাস করে নিতে চায় জ্বালাময়ী হতাশায়,
ভবিষ্যতের দিকে চেয়ে তাই প্রকাশ পায় না ভাষায় |
হারিয়ে যাচ্ছে শক্তি ক্রমশ, হারিয়ে ফেলেছি বল;
ভেঙে পড়া এই মনের মাঝে আশায় দেয় না ফল |
তাকিয়ে থাকি নবাগতদের ছোট্ট মুখের প্রতি,
অন্তরে যেন জ্বালা দিয়ে যায় চাপা ক্রন্দন স্রোত-ই |
ভাবি নিজ মনে, কি আশায় এরা এসেছে পৃথিবী 'পরে;
পাবে কি তারা ক্ষমতা বাঁচার, পাবে কি মনের জোরে |
কোন আশা নিয়ে চলবে এগিয়ে, মনোবল পাবে কেমনে;
পায়ে পায়ে যত বাধা এসে ঘিরে আনবে যে টেনে শমনে |
বড় ভয় তাই ভবিষ্যতে, জোর করি দুই হাতে
প্রার্থনা জানাই, এস না তুমি রুদ্র মূর্তি সাথে |
একটু সুযোগ এনে দাও তুমি নবাগতদের মাঝে,
বাঁচার শক্তি পায় যেন তারা, পায় খুঁজে নিজ কাজে |
আমাদের মতো আশাহত হয়ে, যেন তারা আর বার
ক্রন্দনে কভু ভেঙে নাহি পরে, হয়ে ওঠে ক্ষুরধার |
আমাদের মতো ভয় যেন তারা পায় না ভবিষ্যতে,
ভাসিতে পারে জগৎ মাঝারে আনন্দঘন স্রোতে |
আমাদের মতো সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে হারিয়ে ভগ্নমনে,
ভবিষ্যতে হারিয়ে যাবার ইচ্ছে জাগে না প্রাণে |
নবোদ্যমে আবার তাহারা আশাটিরে বুকে ধরে,
গড়িতে পারিবে নতুন জগৎ, আপনার মতো করে |