একুশের ঋণ
লিখনে এবং আবৃত্তিতে : মানিক পাল  

আমরা তো কেউ অমৃত্বের সুধা
পান করে আসিনি এই পৃথিবীতে ,
তবে , মাতৃ দুগ্ধ প্রদায়িনীর জন্যে
কেন পারবোনা মোরা প্রাণ দিতে ?


মাতৃ দুগ্ধ আমার মুখের ভাষা
মাতৃ দুগ্ধে আমার বাঁচার স্বাধিকার;
মাতৃ দুগ্ধেই আমার দুরন্ত শৈশব
মাতৃ দুগ্ধ আমার অধিকার।


হার্মাদের দল কেড়ে নিতে চাইল
আমার মায়ের ভাষা ;
গুলি করে মেরেও  সাদা পায়রা গুলো কে
স্তব্দিতে পারেনি মায়ের আশা।


একুশ মন্দিরের শঙ্খধ্বনি
ভোরের আজানের ডাক ;
একুশ পেগোডা চার্চে ঘন্টার ধ্বনি
একুশ রণ হুঙ্কারের হাঁক।


রফিক-বরকত-সালামরা দিয়ে গেল প্রাণ
মা-কে বাঁচাবে বলে;
আমরা কি পেরেছি ঋণ শোধরাতে
শুধু উদযাপনের জয় গান গেয়ে ?