জন্মেছিল এক নিঃশব্দ সন্ধ্যায়, অন্ধকারের কোলে,
স্বপ্ন ছিল না তার, ছিল শুধু বেঁচে থাকার তাগিদে।
মায়ের কোল হারিয়ে যায় খুব অল্পবয়সে,
বাবা বাঁচে শুধু রাগে, নয় ভালোবাসায়।
বুকের ভিতর জমে থাকা কান্নাগুলো
কখনো কারো সামনে ফোটেনি ফুল হয়ে।
বন্ধুরা হাসে, স্কুলে গিয়ে ফিরে আসে একা,
ভালোবাসা পায় না, শুধু অবহেলার ধ্বনি শোনা যায়।
দিন যায়, রাত আসে — ঘুম আসে না চোখে,
জীবন শুধু খাতায় লেখা একেকটা ভুল পৃষ্ঠার মত।
চাকরি নয়, খোঁজে পরিচয় — কেউ বলে, "তুই ব্যর্থ!"
নিজেকে ঘৃণা করতে শিখে সে, প্রতিদিন একটু করে।
একদিন সন্ধ্যার অন্ধকারে হাঁটে নদীর পাড়ে,
চাঁদের আলোতে দেখে নিজের ছায়াকেও কাঁদে।
ভাবনা আসে — এই কি তবে জীবনের মূল্য?
তবুও সে হাঁটে, হাঁটে বিষাদের দিকে।
কেউ বোঝে না, কেউ শোনে না অন্তরের কষ্ট,
একাকিত্ব গিলে খায় সমস্ত আশা-ভরসা।
শেষ বারের মত চিঠি লেখে— "আমি ক্ষমা চাচ্ছি",
তারপর নিঃশব্দে বিলীন হয় জলে, বাতাসে, অশ্রুতে।
না, সে মরেনি — থেকে গেছে একটা প্রশ্ন হয়ে,
আমরা কি কখনো শুনেছি সেই নিঃশব্দ আত্মাহুতি?