চার বছরের ছেলেখেলা
তারপর মন ভরে গেলে
একদিন পাখি উড়ে গেল
অন্য কোন ডালে
কোন বিদায় না জানিয়ে।


খেলাটা তার ছিল
নিয়মটাও তার
সেই রেফারী
সেই আম্পায়ার।


কোন আবাহন ছিল না
তবুও এসে বসেছিল দাঁড়ে
শোনাতো রোজ ভালোবাসার গান।



বিসর্জন দিইনি কখনও
যদিও জানতাম পরিযায়ী পাখি
একদিন ঠিকই উড়ে যাবে বাসা ভেঙে ।


ভালোবাসার পবিত্রতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে
দাঁড় থেকে তুলে বসিয়ে ছিলাম
তাকে দেবতার আসনে
পূজার নৈবেদ্য করেছি অর্পণ।


আজ করুণা জাগে মনে
যে হতভাগ্য কখনও বোঝেনি
প্রেম কাকে বলে
ভালোবাসার আশা দিয়ে সে
আর কতগুলো ভাঙবে বাসা?
তারপর শরীরে যৌবনের মৃত্যুর পর
একদিন সেও হয়ত কোন শ্রাবণের নির্জন সন্ধ্যায়
মিশে যাবে নিকৃষ্ট কোন মৃত  কীট পতঙ্গের দলে ।