যে কবিতা আমার কখনো হয়নি লেখা
অথবা যে কবিতা আমি কখনও লিখতে পারিনি
অথবা যে কবিতা লিখতে গেলে কেঁপে যায় হাত
যখন দেখি আমার ভাঙা লেখার টেবিলের
সামনের নোনাধরা দেওয়ালে
ফুটে ওঠে স্বৈরাচারীর রক্তচক্ষু ,
অবিচারের হাতুড়ি, পুলিশের সেল, লাঠি, গুলি,
নিমেষে আমার রাষ্ট্রীয় পরিচয়,
আমার নূন্যতম  নাগরিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চক্রান্ত ।


আমার কলম
বড় একা আজ কুরুক্ষেত্রের প্রান্তরে।
ওরা সবাই দলবদ্ধ  সার সার দাঁড়িয়ে দেওয়ালের গায়ে
তাদের  শীতল দৃষ্টিতে লেখা আমার মৃত্যুর পরোয়ানা।


চেয়ার ঘুরিয়ে বসি
সেদিকের ভাঙা দেওয়ালের গায়ে ফুটে উঠে অন্য ছবি
ক্ষুধার্ত পেটের টানে মন্দির মসজিদের বিভেদ ভুলে
গ্রামে গঞ্জে লম্বা হচ্ছে বঞ্চিত শোষিত নিপীড়িত মানুষের মিছিল
নগরের রাজপথে বসে লক্ষ লক্ষ প্রতারিত যুবশক্তি
বন্ধ কলকারখানার ভাঙা দেওয়ালের থেকে উঠছে আওয়াজ
কাজ দে হারামী
কাজ দে, কাজ চাই, খেটে খেতে চাই ,
কোন হারামের ভাতের লোভ দেখাস না ।