চুরুলিয়ার ছোট্ট ছেলে লেটোর দলের কবি
পায়না খুঁজে পথের দিশা আলোর পথের ছবি ।
কী নিদারুণ দুঃখে কাটে সেই ছেলেটির দিন
কভূ সে হয় লেটোর কবি,আবার মুয়াজ্জিন ।


এতিম কিশোর দিশাহারা পায়না পথের দিশা
তাকে যেন হাতছানি দেয় কোন সুদূরের নেশা ।
সে কিশোর, হঠাৎ দেখি দূর ত্রিশালের পথে
বই পত্তর নিয়ে ছোটে আলোর স্বর্ণ রথে ।


বাঙ্গাল দেশের খোলা মাঠে বট পাকুরের ছায়ে
ঘন সবুজ বন বনানীর পাগল করা গাঁয়ে ।
সেই ছেলেটি দিন দুপুরে বাজায় বাঁশের বাঁশি
ঝরে পড়ে সেই মুক্ত মাঠে মধুর সুরের হাসি ।
সেই ছেলেটি যুদ্ধে গেল, আরব সাগর তীরে
কবি হ’লো বিদ্রোহী মন আসলো যখন ফিরে ।


বৃটিশের তখতে তাউস উঠলো কেঁপে কেঁপে ।
কারার সে লোহ কপাট ভাঙ্গলো যে তার চাপে ।।
তার কবিতা কাব্য গাথা হাজার সুরের গান
মন মাতালো উঠলো জেগে বাংলাদেশের প্রাণ ।
আজও তিনি আছেন শুয়ে মসজিদেরই পাশে
বাংলাদেশের জাতীয় কবি, সবাই ভালোবাসে ।